![]() |
ইন্টারনেটে ছবি |
গত কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্স এবং রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি, পাশাপাশি আমদানি বিল পরিশোধের চাপ কমার কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম কমছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সামনের দিনগুলোতে ডলারের দাম আরও কমতে পারে।
বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখ করুন, যেমনঃ ২৫ এপ্রিল ২০২৫), রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোকে ১২২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত দাম দিতে হয়েছে। অথচ চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেও ব্যাংকগুলোকে ১২৩ টাকা থেকে ১২৩ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত মূল্য দিতে হচ্ছিল। ফলে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডলারের দাম কমেছে ৫০ থেকে ৭০ পয়সা।
ডলারের দাম কমার কারণ কী?
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসে ডলারের চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা কম। বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী নতুন বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের জন্য দেশের আগামী নির্বাচনের অপেক্ষা করছেন। তাই বিনিয়োগ-সংক্রান্ত আমদানি বাড়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্যn
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমানে বাজারে ডলারের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেছেন, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর চাপে এখনই ডলারের দাম সম্পূর্ণভাবে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট পর্যায়ে হস্তক্ষেপ করবে যেন বাজার অস্থিতিশীল না হয়।
ডলারের ভবিষ্যৎ মূল্য কেমন হতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় অব্যাহত থাকলে এবং আমদানির চাপ কম থাকলে টাকার মান আরও শক্তিশালী হতে পারে। ফলে আগামী মাসগুলোতে ডলারের দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।