🔔 সর্বশেষ:
শিরোনাম ২৪...

এনসিপির রাজনৈতিক কৌশলে পরিবর্তন: নির্বাচন নয়, সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালীকরণে অগ্রাধিকার

 

নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকে সরে এসেছে এনসিপি
NCP- EC

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন সামনে থাকলেও এনসিপি আপাতত নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকে সরে এসেছে। দলটি জানিয়েছে, বর্তমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ অনুপস্থিত, তাই তারা এখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ এবং শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করবে।


দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর এত সময় পার হলেও সরকার কোনো গণহত্যার বিচার করেনি। আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা নিয়েও নেই কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি। এসব বিষয়ে সরকার নীরব থাকায় আমরা অত্যন্ত হতাশ। এনসিপি এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এই ইস্যুতে জাতীয়ভাবে আন্দোলন গড়ে তোলায়।”

নির্বাচনের প্রস্তুতি বন্ধ, সাংগঠনিক কার্যক্রমে মনোযোগ


দলীয় সূত্র জানায়, ঈদের আগে কেন্দ্রীয় কমিটির অন্তত ৫০ জন নেতা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেও ঈদের পর তারা অনেকেই সাড়া না পেয়ে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কোনো প্রকার জনসংযোগ বা প্রার্থিতা প্রচার নয়।
এনসিপি মনে করছে, সংগঠন শক্তিশালী না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ অর্থহীন হবে।

বর্তমান সাংগঠনিক লক্ষ্য:

প্রতিটি বিভাগে সম্মেলন আয়োজন

জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন

প্রশিক্ষণমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন

দলীয় নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চায় এনসিপি

সম্প্রতি এনসিপি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। তাদের দাবি ছিল, নিবন্ধনের সময়সীমা ৯০ দিন বাড়ানো হোক, যাতে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দলীয় কাঠামো তৈরি করতে পারে। যদিও কমিশন ৬০ দিন সময় বাড়িয়েছে, তবুও এনসিপি আশাবাদী এই সময়ের মধ্যেই তারা নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করতে পারবে।


এনসিপির চোখে জাতীয় নির্বাচন

দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, প্রবাসীদের প্রক্সি ভোট এবং নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এখনো অসম্পন্ন। এসব বাস্তবায়ন করতে অন্তত আরও এক বছর সময় প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন। এ কারণে এনসিপি মনে করছে, ২০২৫ সালের জুনের আগেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা মৌলিক সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন অর্থবহ মনে করি না। সুষ্ঠু ভোটের আগে নির্বাচনি ব্যবস্থায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কৌশল

আগামী দুই মাসের মধ্যে এনসিপি বিভাগীয় পর্যায়ে বৃহৎ সম্মেলন, প্রশিক্ষণ এবং কর্মী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। মূল লক্ষ্য হলো, grassroots পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং আগামী দিনের রাজনৈতিক বাস্তবতায় কার্যকর ভূমিকা রাখা।


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال