![]() |
বাংলাদেশ ব্যংক |
বিশ মাস পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছুঁয়েছে এক বড় ধরনের ইতিবাচক মাইলফলক। রেমিট্যান্স এবং রফতানি আয় বৃদ্ধির ফলে দেশের মোট রিজার্ভ ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানান, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী ‘বিপিএম-৬’ পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ ২২ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার।
তিনি আরও বলেন, “অর্থপাচার কমে যাওয়া, রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া এবং রফতানিতে উন্নতি—সব মিলিয়ে রিজার্ভ বেড়েছে। একই সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার ১২২ টাকায় স্থিতিশীল থাকাও বড় কারণ।”
চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ২৯ দিনেই এসেছে ২৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স, যা মার্চ মাসের ৩২৯ কোটি ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এই অর্থবছরের প্রতিটি মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নিট রিজার্ভ বা প্রকৃত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখন প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বিশ্লেষকদের মতে, এই রিজার্ভ দিয়ে দেশের তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ডলার বিক্রির কারণে তা নেমে আসে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি বন্ধ করে বাজার থেকে ডলার কিনতে শুরু করে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে রিজার্ভে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, যদি রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হবে এবং বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা কমবে।