![]() |
পেপ্যাল সদর দপ্তর |
বাংলাদেশে পেপ্যাল আসবে?
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং জগতে অন্যতম আলোচিত প্রশ্ন: পেপ্যাল কি সত্যি বাংলাদেশে আসবে? বছর বছর ধরে নানা সরকার এই প্রশ্নে আশার আলো দেখালেও বাস্তব চিত্র এখনও পরিবর্তন হয়নি। সম্প্রতি ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তনের পর আবার আলোচনায় এসেছে পেপ্যাল। তবে এখনও পর্যন্ত নেই কোনো নিশ্চিত ঘোষণা।
পেপ্যাল না আসার কারণসমূহ:
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, পেপ্যাল না আসার পেছনে রয়েছে কিছু কাঠামোগত ও কারিগরি সীমাবদ্ধতা:
1. ২৪/৭ আর্থিক নিরাপত্তা ইউনিটের অভাব: অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কাঠামো নেই বাংলাদেশে।
2. ঠিকানা যাচাইকরণ (Address Verification): পেপ্যাল ব্যবহারকারীদের ঠিকানা যাচাই করতে চায়, যা এখনো বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সহজ নয়।
3. দ্বিমুখী লেনদেন অনুমোদনের ঘাটতি: পেপ্যাল শুধু অর্থ পাঠানোর মাধ্যম নয়, এটিও একটি মার্কেটপ্লেস। বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো পূর্ণ দ্বিমুখী লেনদেন অনুমোদন দেয়নি।
4. আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও ভারতীয় বাধা: অনেক সময় পেপ্যালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ভারতে চলে যায় এবং সাড়া পাওয়া যায় না।
পেপ্যাল এলে সুবিধাগুলো কী হবে?
1. ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহজ ও বিশ্বস্ত লেনদেন: পেপ্যাল আসলে ফ্রিল্যান্সাররা সহজে ও নিরাপদভাবে উপার্জিত অর্থ দেশে আনতে পারবেন।
2. ই-কমার্সে গতি আসবে: আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য সুবিধাজনক হবে পেমেন্ট প্রসেসিং।
3. প্রবাসী আয় আনার সুযোগ: ‘জুম’ এর বাইরে পেপ্যালের মূল সেবা চালু হলে রেমিট্যান্স আনার একটি নতুন পথ খুলবে।
পেপ্যাল এলে সম্ভাব্য ক্ষতির দিকগুলো:
1. সাইবার প্রতারণার আশঙ্কা বাড়বে: বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা অবকাঠামো এখনো দুর্বল। ফলে পেপ্যাল ব্যবহারে হ্যাকিং, ফিশিং বা স্ক্যামের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
2. দেশীয় পেমেন্ট গেটওয়ের ব্যবসায় ধাক্কা: নগদ, বিকাশ, রকেটের মতো দেশীয় সেবাগুলো আন্তর্জাতিক লেনদেন হারাতে পারে।
3. ডলার লিকেজ ও অবৈধ লেনদেন: নিয়ন্ত্রণহীন পেমেন্ট সিস্টেম চালু হলে হুন্ডিসহ নানা অবৈধ উপায়ে ডলার পাচারের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
4. নির্ভরতা বাড়বে বিদেশি সেবার ওপর: প্রযুক্তিগত স্বাধীনতা কমে যেতে পারে, বিদেশি নীতির ওপর নির্ভরতা তৈরি হতে পারে।